 | ㅤ | Bangladesh Atheism21 Feb 2025 (3 weeks ago) |
আমার প্রশ্নটি আরও বিস্তারিতভাবে:
নাস্তিক শব্দের অর্থ কী এবং এর উৎস কী?
নাস্তিক কাকে বলা হয় এবং কীভাবে একজনকে নাস্তিক হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায়?
নাস্তিকতা কী এবং এটি কীভাবে বিভিন্ন ধর্ম, দর্শন বা সমাজে সংজ্ঞায়িত হয়?
নাস্তিক ও অজ্ঞেয়বাদীর মধ্যে পার্থক্য কী?
নাস্তিক ও আস্তিকের মধ্যে পার্থক্য কী?
নাস্তিকতার ইতিহাস ও বিভিন্ন দর্শনগত দৃষ্টিভঙ্গি কী কী?
|
ㅤ |
Admin |
নাস্তিক শব্দটি মূলত সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এর গঠন বিশ্লেষণ করলে পাই:
এই সংমিশ্রণে "নাস্তিক" শব্দের আভিধানিক অর্থ দাঁড়ায় "যার অস্তিত্ব নেই" বা "যিনি অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন না"। প্রাচীন ভারতীয় দর্শনে, বিশেষ করে বৈদিক সমাজে, যারা বেদ এবং সনাতন ধর্মের মূল ভিত্তিগুলো মানত না, তাদের নাস্তিক বলা হতো। এই সংজ্ঞা অনুসারে চার্বাক, জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মকেও একসময় নাস্তিক্যবাদী ধারা হিসেবে চিহ্নিত করা হতো।
নাস্তিক্যবাদ (Atheism) একটি দার্শনিক অবস্থান যা ঈশ্বর বা কোনো সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না। এটি কোনো একক মতবাদ নয়; বরং বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির সম্মিলন। সাধারণভাবে, নাস্তিকতাকে দুইভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়:
নাস্তিক্যবাদ মূলত যুক্তিবাদ ও বিজ্ঞাননির্ভর চিন্তার ওপর প্রতিষ্ঠিত। এতে অতিপ্রাকৃতিক বিশ্বাসকে সন্দেহের চোখে দেখা হয় এবং তার যৌক্তিকতা বা প্রমাণ খোঁজা হয়।
অনেকে নাস্তিকতা ও সংশয়বাদকে এক করে ফেলে, তবে এই দুটোর মধ্যে পার্থক্য আছে। সংশয়বাদীরা নিশ্চিত নন যে ঈশ্বর আছেন কিনা, কারণ এর পক্ষে বা বিপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ নেই। তারা ঈশ্বরের ধারণাকে খোলামন নিয়ে বিচার করেন। অপরদিকে, নাস্তিকরা ঈশ্বরের অস্তিত্বে সরাসরি অবিশ্বাস পোষণ করেন।
নাস্তিকতার ইতিহাস হাজার বছরের পুরনো। প্রাচীন গ্রীক, রোমান এবং ভারতীয় দর্শনে নাস্তিকতার ধারণা বিদ্যমান ছিল।
আধুনিক বিজ্ঞান ঈশ্বরের অস্তিত্বের পক্ষে কোনো প্রত্যক্ষ প্রমাণ দিতে পারেনি।
নাস্তিকতা সাধারণত ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত ঈশ্বরের ধারণাগুলোর অসঙ্গতি তুলে ধরে।
নাস্তিকদের প্রতি বিভিন্ন সমাজের মনোভাব ভিন্ন।
নাস্তিকতা কোনো ধর্ম নয়, বরং এটি একটি যুক্তিবাদী অবস্থান। এটি ঈশ্বর বা অলৌকিক সত্তার অস্তিত্বকে প্রত্যাখ্যান করে এবং বৈজ্ঞানিক ও যৌক্তিক ভিত্তিতে বিশ্বকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে। মানবসভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে নাস্তিকতার ধারণা আরো পরিপক্ব ও বিশ্লেষণধর্মী হয়েছে। নাস্তিক হওয়া মানে কেবল ঈশ্বরে অবিশ্বাস নয়, বরং এটি মুক্ত চিন্তা, যুক্তিবাদ এবং প্রমাণ-ভিত্তিক বাস্তবতার অনুসন্ধান।
|
|
ㅤ |
Admin |
নাস্তিকতা: সংজ্ঞা, উৎস, দর্শন এবং প্রভাব
নাস্তিক শব্দটি সংস্কৃত থেকে এসেছে। এটি তিনটি অংশে বিভক্ত:
এই বিশ্লেষণের মাধ্যমে "নাস্তিক" শব্দের অর্থ দাঁড়ায় "যার অস্তিত্ব নেই" বা "যিনি অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন না"। প্রাচীন ভারতে, যারা বেদ ও ধর্মীয় গ্রন্থের কর্তৃত্ব স্বীকার করত না, তাদের নাস্তিক বলা হতো।
নাস্তিক এমন ব্যক্তি যিনি ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন না। তবে নাস্তিকতা শুধু ধর্মীয় বিশ্বাসের অনুপস্থিতি নয়, এটি একটি দার্শনিক অবস্থান। নাস্তিকতা বিজ্ঞান, যুক্তি ও পরীক্ষালব্ধ জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে গঠিত।
নাস্তিকতা বিভিন্ন সমাজ, ধর্ম ও দর্শনে ভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত হয়েছে:
নাস্তিকতার ইতিহাস প্রাচীন এবং বিভিন্ন দার্শনিক চিন্তার মাধ্যমে এটি বিকশিত হয়েছে:
নাস্তিকতা কেবল ঈশ্বরে অবিশ্বাস নয়, বরং এটি মুক্তচিন্তা, যুক্তিবাদ এবং প্রমাণ-ভিত্তিক বাস্তবতার অনুসন্ধানকে বোঝায়।
