মুসলিম মানেই প্রতিবন্ধী তা প্রমাণ করতে চাইলে ঐ মুসলিমকে কুরআনের ৪ নম্বর সুরা : নিসা, আয়াত ১১ এবং ১২ পড়তে দিন এবং একজন মৃত মহিলার ১২ লক্ষ টাকা ঐ মৃত মহিলার এক কন্যা, বাবা, মা ও স্বামীর মধ্যে কুরআনে উল্লিখিত নির্ধারিত অংশ অনুযায়ী ভাগ করে দিতে বলেন।
“কুরআনের ৪ নম্বর সুরা : নিসা, আয়াত ১১ এবং ১২ ভুল আছে।”
এ বিষয়ের পক্ষে যেকোনো মুমিনের সাথে যেকোনো পেইজে যেকোনো মডারেটর দিয়ে স্ট্রিমইয়ার্ডে অনলাইন লাইভ ডিবেট করতে চাই। কেউ রাজি হলে তাকে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা বিকাশ করবো।
শর্ত হলো – কুরআনকে বিকৃত করা যাবে না।
কুরআনে ভুল আছে।
(আপনি যদি ২, ৪ এবং ৬ এর ঘরের নামতা জেনে থাকেন, তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন।)
কুরআনের ৪ নম্বর সুরা : নিসা, আয়াত ১১ এবং ১২ অনুযায়ী –
একজন মৃত মহিলার ১২ লক্ষ টাকার সম্পত্তি থেকে তার –
এক পুত্র পাবে (কন্যার দ্বিগুণ অংশ) = ৩.৩৩ লক্ষ টাকা (প্রায়)।
এক কন্যা পাবে (পুত্রের অর্ধেক অংশ) = ১.৬৭ লক্ষ টাকা (প্রায়)।
বাবা পাবে (১/৬ অংশ) = ২ লক্ষ টাকা।
মা পাবে (১/৬ অংশ) = ২ লক্ষ টাকা।
স্বামী পাবে (১/৪ অংশ) = ৩ লক্ষ টাকা।
(৩.৩৩+১.৬৭+২+২+৩=১২ লক্ষ টাকা)
——————————-
কুরআনের ৪ নম্বর সুরা : নিসা, আয়াত ১১ এবং ১২ অনুযায়ী –
একজন মৃত মহিলার ১২ লক্ষ টাকার সম্পত্তি থেকে তার –
এক কন্যা পাবে (১/২ অংশ) = ৬ লক্ষ টাকা।
বাবা পাবে (১/৬ অংশ) = ২ লক্ষ টাকা।
মা পাবে (১/৬ অংশ) = ২ লক্ষ টাকা।
স্বামী পাবে (১/৪ অংশ) = ৩ লক্ষ টাকা।
(৬+২+২+৩=১৩ লক্ষ টাকা।
১২ লক্ষ টাকা থেকে ১৩ লক্ষ টাকা দেয়া যায় না। কুরআনে ভুল আছে, তা প্রমাণিত সত্য।)
২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা বিকাশ করা হবে, যদি কোনো মুমিন প্রয়োজনে ক্যালকুলেটর দিয়ে হলেও বলতে পারে :
অর্ধেক ( ১/২ ) মানে কত ?
উত্তর : (ক) 0.5
(খ) 0.461538461
ছয় ভাগের একভাগ ( ১/৬ ) মানে কত ?
উত্তর : (ক) 0.166666666
(খ) 0.153846153
চার ভাগের একভাগ ( ১/৪ ) মানে কত ?
উত্তর : (ক) 0.25
(খ) 0.230769230
(আউল পদ্ধতিতে ১/২ = 0.461538461
আউল পদ্ধতিতে ১/৬ = 0.153846153
আউল পদ্ধতিতে ১/৪ = 0.230769230)
কুরআনে সম্পত্তি বণ্টন বিষয়ে ভুল অংশের উল্লেখ থাকায় কুরআনে উল্লিখিত নির্ধারিত অংশ দেয়ার সময় কিছু কিছু ক্ষেত্রে হিসাব মেলে আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে হিসাব মেলে না।
তাই কুরআনের নির্ধারিত অংশ অনুযায়ী যে হিসাবটি মেলে, সেটাকে কুরআনের নির্ধারিত অংশ অনুযায়ী মেলানো হয়। আর কুরআনের নির্ধারিত অংশ অনুযায়ী যে হিসাবটি মেলে না, সেটাকে ধর্মব্যবসায়ীদের ইজমা-কিয়াসের মাধ্যমে তৈরিকৃত গোঁজামিল আউল বা রাদ পদ্ধতি দিয়ে মেলানো হয়। আউল বা রাদ পদ্ধতিতে যেকোনো পাগল, ছাগল, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, মূর্খ, অশিক্ষিত, ভণ্ড, টাউট, বাটপারের ভুল হিসাবকে গোঁজামিল দিয়ে মিলিয়ে দেয়া যায়।
কুরআনে ভুল আছে মেনে নিলে মুমিনদের ধর্মের লুঙ্গি খুলে যায়।


























এটা তো