বর্তমান পরিস্থিতি
বাংলাদেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা সমাজের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ। সম্প্রতি শহীদ মিনারের মতো পবিত্র স্থানে ধর্ষণের ঘটনা আমাদের সমাজের অবনতিশীল নৈতিকতার প্রতিফলন। এছাড়া, বাস, রেল, বাজারসহ বিভিন্ন জনসমাগমস্থলে নারীরা প্রতিনিয়ত হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
সাম্প্রতিক প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া
ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে । ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন । বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দোষীদের শাস্তি ও ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে ।
করণীয়
নারী ও শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ও সমাজের সকল স্তরের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সরকারের উচিত কঠোর আইন প্রণয়ন ও তার কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করা, যাতে অপরাধীরা দ্রুত শাস্তি পায়। পাশাপাশি, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, শিক্ষার প্রসার এবং নৈতিক মূল্যবোধের চর্চা অপরিহার্য। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর নির্যাতিত নারীদের জন্য আইনগত সহায়তা ও নিরাপদ আশ্রয় প্রদানসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে । তবে, শুধুমাত্র সরকারি উদ্যোগ যথেষ্ট নয়; সমাজের প্রতিটি সদস্যকে নারীর সুরক্ষা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।