সাভারের আশুলিয়ায় চাচা কর্তৃক শিশু ধর্ষণের মর্মান্তিক ঘটনা: পলাতক অভিযুক্ত

সাভারের আশুলিয়ায় এক মর্মান্তিক ঘটনায় আট বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার চাচার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে আশুলিয়ার কাইচাবাড়ি এলাকায়। ভুক্তভোগীর পরিবার (১১ মার্চ, ২০২৫) মঙ্গলবার স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত চাচা পলাতক রয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্য তদন্ত চলছে।

কী ঘটেছিল?

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর পরিবার কাইচাবাড়ির মনির হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকে। শিশুটির বাবা-মা পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তিন দিন আগে শিশুটির মামাতো ভাই চাকরির সন্ধানে তাদের বাড়িতে আসেন। সোমবার সকালে শিশুটির বাবা-মা কাজে যাওয়ার সময় তাকে বাড়িতে রেখে যান। এ সময় অভিযুক্ত চাচা শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে তিনি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।

পরিবারের মর্মবেদনা

ঘটনাটি ঘটার পর থেকে শিশুটির পরিবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। শিশুটির মা-বাবা স্থানীয়দের কাছে সাহায্য চেয়েছেন এবং দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। তারা জানান, তাদের শিশুটি এখনও শারীরিক ও মানসিকভাবে ভীষণ ভুগছে।

সমাজের উদ্বেগ

এ ধরনের ঘটনা সমাজে ব্যাপক ক্ষোভ ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা অভিযুক্তের দ্রুত গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আইনের কঠোর প্রয়োগের দাবি উঠেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপ

আশুলিয়া থানার পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির চিকিৎসা ও আইনি সহায়তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনায় দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে তারা কাজ করছে।

শেষ কথা

শিশু নির্যাতনের এ ধরনের ঘটনা সমাজের জন্য একটি কালো দাগ। শিশুদের সুরক্ষা ও তাদের প্রতি সহিংসতা রোধে সামাজিক সচেতনতা ও আইনের কঠোর প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি। আশা করা যায়, দ্রুততম সময়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।

সাভারের আশুলিয়ায় থানা