ঢাকার উত্তরা এলাকার উত্তরখান মাজার সংলগ্ন পুরান পাড়ায় সংঘটিত এক ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনায় পুরো এলাকা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। ১০ মার্চ ২০২৫, গভীর রাতে একদল ডাকাত একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে মূল্যবান সম্পদ লুট করার চেষ্টা করে। এ সময় বাড়ির গৃহকর্তা তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ডাকাতরা নির্মমভাবে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
Contents
ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গভীর রাতে একদল দুর্বৃত্ত পুরান পাড়ার একটি বাড়িতে প্রবেশ করে। বাড়ির সদস্যরা প্রথমে ডাকাতদের উপস্থিতি টের পেয়ে চিৎকার করার চেষ্টা করলে তাদের ভয় দেখিয়ে চুপ থাকতে বাধ্য করা হয়। তবে গৃহকর্তা সাহস করে ডাকাতদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে একের পর এক আঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার পর থেকেই পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবেশীরা চিৎকার শুনে বাইরে বের হলেও ডাকাত দল দ্রুত পালিয়ে যায়।
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
এলাকার বাসিন্দারা এ ঘটনায় অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তাদের ভাষায়, সাম্প্রতিক সময়ে এলাকায় অপরাধের মাত্রা বেড়ে গেছে, অথচ নিরাপত্তা ব্যবস্থা তেমন জোরদার করা হয়নি। তারা দাবি করছেন, প্রশাসন যেন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে দোষীদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করে।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“আমরা রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছি না। আমাদের এলাকায় বারবার চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটছে, কিন্তু প্রশাসনের তেমন নজর নেই। এই হত্যাকাণ্ডের পর এখন আমরা আরও আতঙ্কিত হয়ে গেছি।”
পুলিশের তদন্ত ও করণীয়
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ইতোমধ্যে আলামত সংগ্রহ করেছে এবং অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অপরাধীদের ধরতে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এদিকে, এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। তারা বলছেন, অপরাধীরা যদি দ্রুত ধরা না পড়ে, তবে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারে।
শেষ কথা
এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও ডাকাতির ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি এখন প্রশাসনের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে, সাধারণ মানুষ আরও বেশি আতঙ্কে দিন কাটাবে।
এই ঘটনার আরও নতুন তথ্য পাওয়া গেলে তা জানানো হবে।
তথ্য
ঢাকার উত্তরখান মাজার এলাকার পুরান পাড়ায় ১০ মার্চ ২০২৫ তারিখে সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডে হাবীবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়া (৫০) নিহত হয়েছেন। [1]
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি গত ছয় মাস ধরে ওই এলাকায় একা বসবাস করছিলেন।[2]
প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ঘটনার কয়েকদিন আগে তার বাসায় একজন ছেলে ও একজন মেয়ে মেহমান হিসেবে এসেছিলেন। ঘটনার পর থেকে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিবেশীরা সাইফুর রহমানকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উত্তরা লেকভিউ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।[2]
উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, সাইফুর রহমানের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং পুলিশ তদন্ত করছে। [1]
এলাকাবাসীর মধ্যে এ ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে যে, অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
নতুন তথ্য পাওয়া গেলে সংবাদটি আপডেট করা হবে।
তথ্যসুত্র
- thefinancialexpress.com.bd [⬆] [⬆]
- bayanno.com [⬆] [⬆]