মুসলীমদের বিশ্বাস রমজান মাস, সিয়াম সাধনার পবিত্র সময়। অথচ তাদের মধ্যেই কিছু বিকৃত মানসিকতার মানুষ এই সময়েও নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। সম্প্রতি এক শিক্ষার্থী ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন, যা আমাদের সমাজের বাস্তব চিত্রকেই ফুটিয়ে তোলে।
ঘটনার বিবরণ
পরীক্ষা শেষে ইফতারি কিনে বাড়ি ফেরার পথে মেয়েটি বর্ণালীর মোড়ে অপেক্ষা করছিলেন। তার পাশেই বসা ছিল এক ব্যক্তি, যার হাতে একটি কাপড়ের ব্যাগ ছিল। প্রথমে মনে হয়েছিল, বড় ব্যাগ থাকার কারণে হয়তো তার পায়ের সঙ্গে মেয়েটির পায়ের ঘষা লাগছে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই বিষয়টি সন্দেহজনক হয়ে ওঠে।
তিনি যখন নিজের অস্বস্তি প্রকাশ করেন, তখনই ব্যক্তিটির আসল রূপ প্রকাশ পায়। সে নিজের গোপনাঙ্গের উপর হাত রেখে অশ্লীল আচরণ করতে শুরু করে এবং মেয়েটির দিকে কু-নজরে তাকিয়ে থাকে। ভাগ্যক্রমে, মেয়েটি দ্রুত ঘটনাটি ভিডিও করতে সক্ষম হন, আর তৎক্ষণাৎ লোকটি তার কুকর্ম থামিয়ে দেয়।
সমাজের অবক্ষয় ও আমাদের করণীয়
এটাই আমাদের সমাজের বাস্তবতা। প্রকাশ্যে, জনসমাগমের জায়গাতেও নারীরা নিরাপদ নন। একজন শিক্ষার্থী, যে দিনের পর দিন নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে পড়াশোনা করছে, তাকে পর্যন্ত এই লজ্জাজনক পরিস্থিতির শিকার হতে হয়।
প্রশ্ন হলো, এর সমাধান কী?
১. আইনের কঠোর প্রয়োগ: এমন অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
2. সচেতনতা ও প্রতিবাদ: নারীরা শুধু ভুক্তভোগী নন, তারা প্রতিরোধ গড়েও তুলতে পারেন। ভিডিও করা ও ঘটনাটি সামনে আনা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সমাজকেও সচেতন হতে হবে।
৩. জনসচেতনতা বৃদ্ধি: রাস্তাঘাটে বা গণপরিবহনে সন্দেহজনক কিছু দেখলে সেটি এড়িয়ে না গিয়ে, সোচ্চার হতে হবে।
তাদের বিশ্বাসের রমজান মাসেও যদি কেউ নিজের নোংরা চরিত্র লুকিয়ে রাখতে না পারে, তাহলে বুঝতে হবে, তাদের সামাজিক মূল্যবোধ কোথাও হারিয়ে গেছে। এখনই সময়, এমন বিকৃত মানসিকতাকে প্রতিহত করার। না হলে আগামীকাল যে আরেকটি মেয়েকে একই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে না, তার নিশ্চয়তা কে দেবে?