মসজিদ শুধু নামাজ আদায়ের স্থান নয়, তাদের বিশ্বাসে এটি মুসলমানদের নৈতিক শিক্ষা ও আত্মশুদ্ধির কেন্দ্র। মসজিদের ইমামরা ধর্মীয় দীক্ষা দেন, মানুষকে সৎ পথে চলার উপদেশ দেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ইমামের কর্মকাণ্ড দেখে প্রশ্ন জাগে—তারা কি সত্যিই সেই মর্যাদার যোগ্য?
ধর্মের আড়ালে অনৈতিকতা
দেশের বিভিন্ন স্থানে ইমামদের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের অভিযোগ উঠে আসছে। কিছুদিন আগে বরিশালের গৌরনদীতে গভীর রাতে এক ইমামকে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘর থেকে আটক করা হয়েছে। যারা ধর্মের ব্যাখ্যা দেন, শালীনতার শিক্ষা দেন, তারাই যখন সমাজে নৈতিক অবক্ষয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ান, তখন সাধারণ মানুষ কাকে অনুসরণ করবে?
এ ধরনের ঘটনা একা গৌরনদীতেই নয়, প্রায়শই দেশের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। মাদ্রাসায় শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রদের নির্যাতন, নারীদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক, অর্থ আত্মসাৎ—এমন বহু অভিযোগ ইমামদের বিরুদ্ধে পাওয়া যায়। অথচ এরা নামাজের সময় মিম্বরে উঠে নৈতিকতার বুলি আওড়ান।
দ্বৈত চরিত্রের ইমামতন্ত্র
সমাজের একশ্রেণির ইমাম ধর্মকে শুধু নিজের স্বার্থে ব্যবহার করেন। তারা যখন মসজিদে থাকেন, তখন ধর্মের আদর্শ প্রচার করেন, আর যখন একান্তে থাকেন, তখন অনৈতিকতার গভীরে নিমজ্জিত হন। তাহলে প্রশ্ন জাগে ধর্মের আদর্শ কি এসব? দ্বৈত চরিত্র শুধু ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিকর নয়, বরং পুরো সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
ধর্মীয় নেতা হিসেবে ইমামদের একটি দায়িত্ব রয়েছে—সততার প্রতীক হয়ে সমাজকে পথ দেখানো। কিন্তু যারা নিজেরাই পথভ্রষ্ট, তারা কীভাবে অন্যদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে?
সমাধান কী?
- আইন প্রয়োগ: ধর্মীয় অবস্থানের কারণে অপরাধীদের ছাড় দেওয়া চলবে না। ইমাম হোক বা অন্য কেউ, আইনের চোখে অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখতে হবে।
তাছাড়াও ইসলামের মূল শিক্ষার সঙ্গে কিছু ইমামের বাস্তব চরিত্রের মিল পাওয়া যায়। ১৪০০ আগে তাদের নবী মুহাম্মদকেও আমরা এসব অপকর্ম করেছে তার তথ্য পাই। উম্মে হানী নামে এক মেয়ে নবী মুহাম্মদ ছোট বেলায় বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু উম্মে হানীর বাবা মুহাম্মদের সাথে বিয়ে দেয়নি। অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু মুহাম্মদকে প্রায়সই অই মেয়ের বাসায় রাত্রিযাপন করার তথ্য পাওয়া যায়। এমনি এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়, যেখানে মুহাম্মদ উম্মে হানী বাসায় রাত্রিযাপন করেছিল। সকালে সেটি জানাজানি হলে মুহাম্মদ মিরাজের অলৌকিক ঘটনা বলে চালিয়ে দেন। মুহাম্মদ বলে তিনি নাকি উম্মে হানী ঘর থেকে রাতে তার ঘরে না থেকে গোড়া দিয়ে আকাশে ভ্রমণ করে আল আকসা মসজিদে গিয়েছেন। তারপর সেখানে ২ রাকাত নামাজ পড়ে সেখান থেকে নাকি উনি সাত আসমানে উপরে উঠে আল্লাহ সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন। এবং সেখানে একরাতেই ২৭ বছর কাটিয়ে আসেন। সাথে ৫ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে আসেন।
