ইসলামে নারীর মর্যাদা অত্যন্ত উচ্চ। ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা নারীকে সম্মান, অধিকার ও নিরাপত্তা প্রদান করেছে। পূর্বে নারীরা সমাজে অবহেলিত ছিল, তাদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হতো না, এমনকি অনেক সমাজে নারীদের মানুষ হিসেবেও গণ্য করা হতো না। কিন্তু ইসলাম নারীদের জন্য ন্যায়বিচার, সম্মান ও মর্যাদার নিশ্চয়তা দিয়েছে।

ইসলাম নারীদের শিক্ষা অর্জনের অধিকার দিয়েছে। নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, “জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমান নর ও নারীর জন্য ফরজ।” (ইবনে মাজাহ)। অর্থাৎ, নারীও শিক্ষার ক্ষেত্রে পুরুষের সমান অধিকারী।

নারীদের সম্পত্তির অধিকার দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম আগেও এবং আজও নিশ্চিত করে যে নারী তার বাবার, স্বামীর বা ভাইয়ের সম্পত্তির উপর নির্ভরশীল নয়, বরং সে নিজেও সম্পত্তির মালিক হতে পারে, সম্পত্তি উপার্জন করতে পারে এবং নিজের সম্পত্তি নিজেই ব্যবহার করতে পারে।

ইসলাম নারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছে। মহানবী (সা.) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে সে-ই উত্তম, যে তার স্ত্রীদের প্রতি উত্তম আচরণ করে।” (তিরমিজি)। এটি দেখায় যে ইসলাম নারীদের কেবল অধিকারই দেয়নি, বরং তাদের প্রতি সদাচরণের নির্দেশও দিয়েছে।

ইসলাম নারীদের মা, কন্যা, স্ত্রী ও বোন হিসেবে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে। একজন মায়ের পদমর্যাদা সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেছেন, “জান্নাত মায়ের পায়ের নিচে।” (নাসাঈ)। অন্যদিকে, কন্যা সন্তান লালন-পালনের ব্যাপারে তিনি বলেছেন, “যে ব্যক্তি দুই বা ততোধিক কন্যা সন্তানকে লালন-পালন করবে, সে জান্নাতে আমার সঙ্গে থাকবে।” (মুসলিম)।

সংক্ষেপে, ইসলাম নারীদের সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছে। এটি নারীদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষাগত ও পারিবারিক জীবনে সমান অধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছে, যা মানবতার ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত।