Register | Login | Refresh | Home |
![]() ![]() ![]() | - | আসিফ মহিউদ্দীনআক্রমণাত্মক জিহাদ, ইসলাম ও মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি (বিপক্ষে), ইসলামী মৌলবাদ ও উগ্রবাদ, ইসলামী শরীয়ত (বিপক্ষে), ইসলামে ধর্মান্তর ও জোরপূর্বক ইসলাম গ্রহণ, ইসলামের আগ্রাসন ও সাম্রাজ্যবাদ, মুহাম্মদের রাজনৈতিক চালবাজি, শরীয়তের রাজনৈতিক ব্যবহার,27 Feb 2025 (2 weeks ago)
|
আক্রমণাত্মক জিহাদ বা “জিহাদ বিল কিতাল” এমন একধরনের সামরিক যুদ্ধ বা আক্রমণাত্মক কার্যক্রম, যা ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয় বলে কিছু ঐতিহাসিক ব্যাখ্যায় উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ইসলামে জিহাদ সাধারণত আত্মরক্ষা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। ইসলামিক ধর্মতত্ত্ববিদদের মধ্যে এ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।
অনেকে বলেন, ইসলাম আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধকে অনুমোদন দিলেও, আক্রমণাত্মক জিহাদের মাধ্যমে ধর্ম প্রচারের অনুমোদন দেয়নি। ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.) ও খোলাফায়ে রাশেদিনদের যুগে অধিকাংশ যুদ্ধ আত্মরক্ষামূলক ছিল এবং শান্তি প্রতিষ্ঠাই মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল। ইসলামী আইনের বিভিন্ন ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, জিহাদ শুধুমাত্র তখনই বৈধ, যখন মুসলমানদের জীবন, সম্পদ বা ধর্মীয় স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়ে।
আধুনিক যুগে অনেক ইসলামি পণ্ডিত ও স্কলার ব্যাখ্যা করেন যে, ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা অনুযায়ী আক্রমণাত্মক যুদ্ধ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানই ইসলামের মূল বার্তা। বেশিরভাগ ইসলামী দেশ ও আলেমরা আজকের আন্তর্জাতিক আইনের আলোকে আক্রমণাত্মক জিহাদকে সমর্থন করেন না। বরং, তারা আত্মরক্ষামূলক নীতিকে ইসলামের প্রকৃত অবস্থান হিসেবে তুলে ধরেন।
তবে ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে কিছু সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ইসলামের নামে আক্রমণাত্মক যুদ্ধ পরিচালনা করেছে, যা ইসলামি মূলনীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে অনেক গবেষক মত প্রকাশ করেছেন। বর্তমান বিশ্বে কিছু চরমপন্থী গোষ্ঠী এই ধারণাকে অপব্যবহার করে, যা মূলধারার ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রহণযোগ্য নয়।