Register | Login | Refresh | Home |
![]() | - | পথপর্শকঅন্য নবীদের কীর্তিকলাপ, মাদরাসায় বলৎকার ও ধর্ষণ,23 Feb 2025 (2 months ago) |
ইসলামের অন্যান্য নবীদের জীবনে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সমালোচনা ছিল, যা কুরআন ও হাদিসে উল্লেখিত হয়েছে। এসব কাহিনি থেকে শিক্ষা নেওয়া হয়, তবে এগুলো কখনোই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বা নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করার জন্য নয়।
আদম (আ.): ইসলামী মতে, আদম (আ.) প্রথম মানুষ ও নবী। তবে তিনি এবং হাওয়া (আ.) শয়তানের প্ররোচনায় জান্নাতে নিষিদ্ধ গাছের ফল খেয়েছিলেন, যার ফলে তাদের পৃথিবীতে পাঠানো হয়। যদিও ইসলামে এটিকে ভুল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, এটি কোনো পাপ হিসেবে বিবেচিত নয়, বরং মহান আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।
নূহ (আ.): নূহ (আ.)-এর কাহিনিতে দেখা যায়, তার সম্প্রদায়ের অনেকেই তাকে মিথ্যাবাদী বলত এবং তার দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করত। এমনকি তার নিজের ছেলে পর্যন্ত বিশ্বাস করেনি এবং মহাপ্লাবনের সময় ডুবে মারা যায়।
লূত (আ.): লূত (আ.) এমন এক সম্প্রদায়ের মধ্যে বসবাস করতেন, যারা সমকামিতায় লিপ্ত ছিল। তিনি তাদের সতর্ক করেছিলেন, কিন্তু তারা তাকে উপহাস করেছিল এবং তার পরিবারকে শহর থেকে বের করে দিতে চেয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তাদের ধ্বংস করেন।
ইউসুফ (আ.): তাকে তার নিজের ভাইয়েরা ঈর্ষা করে কূপে ফেলে দিয়েছিল এবং পরে তাকে দাস হিসেবে বিক্রি করে দেয়। যদিও তিনি নির্দোষ ছিলেন, মিসরের শাসকের স্ত্রী তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেয়, ফলে তাকে কারাগারে যেতে হয়।
মূসা (আ.): তিনি ফেরাউনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তার সম্প্রদায়কে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তার নিজের সম্প্রদায়ই বারবার অবিশ্বাস ও বিরোধিতা করেছিল। এমনকি যখন তিনি তুর পাহাড়ে আল্লাহর সাথে কথা বলতে গিয়েছিলেন, তখন তার অনুপস্থিতিতে বনি ইসরাইল গরুর উপাসনা শুরু করে।
দাউদ (আ.): ইসলামে দাউদ (আ.)-কে ন্যায়বিচারক ও শক্তিশালী শাসক হিসেবে দেখা হয়। তবে তার জীবনে কিছু কঠিন মুহূর্ত এসেছিল, যেমন একজন সেনাপতির স্ত্রীর প্রতি আকৃষ্ট হওয়া এবং তার ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।
সুলায়মান (আ.): সুলায়মান (আ.)-এর জ্ঞান ও শক্তির জন্য বিখ্যাত ছিলেন, কিন্তু কুরআনে উল্লেখ আছে যে, তার মৃত্যুর পর তার জাতি জাদুবিদ্যার দিকে ঝুঁকে পড়ে।
ইউনুস (আ.): তিনি নিজের সম্প্রদায়ের ওপর রাগ করে তাদের দাওয়াত ছেড়ে চলে যান, ফলে আল্লাহ তাকে মাছের পেটে বন্দি করেন। পরে তিনি অনুতপ্ত হলে আল্লাহ তাকে মুক্ত করেন।
আইয়ুব (আ.): তিনি বহু বছর কঠিন রোগ ও দুঃখ-কষ্ট সহ্য করেছিলেন, যা আল্লাহর পরীক্ষা ছিল। কিছু লোক এমনও বলেছিল যে, তিনি কোনো পাপের কারণে এই শাস্তি পাচ্ছেন, যদিও তা সত্য ছিল না।
ইসা (আ.): ইহুদিরা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল এবং তাকে ক্রুশবিদ্ধ করতে চেয়েছিল। যদিও ইসলামে বিশ্বাস করা হয় যে, তাকে হত্যা করা হয়নি, বরং আল্লাহ তাকে উর্ধ্বে তুলে নিয়েছেন।
এ সকল কাহিনি নবীদের কোনো ব্যর্থতা নয়, বরং তাদের মানবীয় দিক ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রতিফলন। ইসলামে নবীদের সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখা হয় এবং তাদের ভুলত্রুটি থাকলেও, তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে পথপ্রদর্শক হিসেবে মনোনীত ছিলেন।