ইহুদী রাজনৈতিক প্রভাব এবং আধুনিক বিশ্বে তাদের অবস্থান নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা ও সমালোচনা রয়েছে। রাজনৈতিকভাবে ইহুদীদের বিশেষ করে ইসরায়েলের অবস্থান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসরায়েলি লবির শক্তিশালী ভূমিকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বে নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। অনেক সমালোচক মনে করেন, এই লবির প্রভাব মধ্যপ্রাচ্যে সংকটের একটি প্রধান কারণ, কারণ এটি ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে বিশ্ব সম্প্রদায়ের নীরব সমর্থন নিশ্চিত করে।

আধুনিক দুনিয়ায় ইহুদী সম্প্রদায় বিভিন্ন খাতে সফল হলেও কিছু বিতর্কিত ভূমিকা রয়েছে। অর্থনীতি, গণমাধ্যম ও প্রযুক্তি খাতে তাদের প্রভাব অনেক বেশি, যা অনেক সময় নির্দিষ্ট এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহার করা হয় বলে সমালোচনা করা হয়। তবে, অন্যদিকে বলা হয় যে, তাদের কঠোর পরিশ্রম ও বুদ্ধিমত্তার কারণে তারা উন্নতি করেছে।

এছাড়া, ইহুদী জাতীয়তাবাদ বা জায়োনিজমের প্রভাবও একটি বিতর্কিত বিষয়। এটি একটি রাজনৈতিক মতাদর্শ যা ইসরায়েলের সুরক্ষা ও সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্ব দেয়। অনেক মুসলিম ও নিরপেক্ষ বিশ্লেষক মনে করেন, এটি মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতার একটি প্রধান কারণ। জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রস্তাবনা এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইসরায়েলের উপেক্ষার কারণে তাদের সমালোচনা করা হয়।

তবে, ইহুদী সম্প্রদায়কে একপাক্ষিকভাবে দেখা উচিত নয়। তাদের অভ্যন্তরেও শান্তিপ্রিয় ও মানবতাবাদী অংশ রয়েছে যারা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলে এবং জায়োনিজমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। সুতরাং, ইহুদী রাজনীতি ও আধুনিক বিশ্বে তাদের প্রভাব নিয়ে সমালোচনা করতে গেলে একটি ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি রাখা প্রয়োজন।