Register | Login | Refresh | Home |
![]() | - | আসিফ মহিউদ্দীনইসলামের উদ্ভট মিথ্যা প্রোপাগান্ডা, কোরআনে বৈজ্ঞানিক ভুল, কোরআনে ব্যাকরণ ও তথ্যগত ভুল, জ্বীন ভুত শয়তান ফেরেশতা (বিপক্ষে), হাস্যকর হাদিস,28 Feb 2025 (2 weeks ago)
|
কুরআনকে ইসলামে নির্ভুল ও অলৌকিক গ্রন্থ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে, কিছু গবেষক ও সমালোচক দাবি করেন যে কুরআনে কিছু ব্যাকরণিক ও তথ্যগত অসঙ্গতি রয়েছে। এ ধরনের আলোচনাগুলো সাধারণত ভাষাতত্ত্ব, ইতিহাস এবং বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
ব্যাকরণগত ত্রুটি
কিছু ভাষাবিদ দাবি করেন যে কুরআনের আরবি ব্যাকরণে কয়েকটি ব্যতিক্রম রয়েছে, যা শাস্ত্রীয় আরবি ব্যাকরণের নিয়মের সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। যেমন:
সূরা তাওবা (৯:৩৮) – এখানে ব্যবহৃত “اثاقلتم” শব্দটি সাধারণ আরবি ব্যাকরণের দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যতিক্রম বলে মনে করা হয়।
সূরা আল-মায়েদা (৫:৬৯) – এখানে “الصابئون” শব্দটি একটি বাক্যের গঠন অনুসারে “الصابئين” হওয়া উচিত ছিল বলে ব্যাকরণবিদরা মত দেন।
তবে, ইসলামি পণ্ডিতরা বলেন যে কুরআনের ভাষা স্বতন্ত্র এবং এটি প্রাক-ইসলামিক কবিতার মতো কিছু ক্ষেত্রে ব্যাকরণগত ব্যতিক্রম অনুসরণ করে, যা প্রাক-নির্ধারিত নিয়মের বাইরে গিয়েও গ্রহণযোগ্য হতে পারে।
তথ্যগত অসঙ্গতি
কিছু সমালোচক মনে করেন যে কুরআনে কিছু বৈজ্ঞানিক ও ঐতিহাসিক অসঙ্গতি রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ:
সূর্যাস্তের স্থান – সূরা আল-কাহাফ (১৮:৮৬)-এ বলা হয়েছে, যুলকারনাইন এক স্থানে পৌঁছে দেখলেন সূর্য কাদাযুক্ত জলাশয়ে অস্ত যাচ্ছে (“وجدها تغرب في عين حمئة”)। তবে, আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের মতে, সূর্য কোথাও ডুবে না, এটি একটি দৃষ্টিভ্রমমাত্র।
সৃষ্টিতত্ত্ব – সূরা Fussilat (৪১:৯-১২)-তে সৃষ্টির ক্রমবিন্যাস বর্ণনার কিছু অংশ বিজ্ঞানের সাথে পুরোপুরি মেলে না। সেখানে বলা হয়েছে, পৃথিবী প্রথমে সৃষ্টি করা হয়েছে, এরপর আকাশ। কিন্তু আধুনিক মহাবিশ্ববিদ্যা অনুসারে, মহাবিশ্ব (আকাশ) প্রথমে সৃষ্টি হয়েছে, তারপর গ্রহ-নক্ষত্রের গঠন হয়েছে।
জীববিজ্ঞান ও ভ্রূণতত্ত্ব – সূরা আল-মুমিনুন (২৩:১২-১৪)-এ মানব ভ্রূণের বিকাশের যে বিবরণ দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে কিছু জীববিজ্ঞানী প্রশ্ন তুলেছেন। বিশেষ করে, “অলাকা” (علق) শব্দটি রক্ত জমাট বাঁধার অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়, যা আধুনিক ভ্রূণবিজ্ঞানের সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
ইসলামি ব্যাখ্যা
ইসলামি পণ্ডিতরা এসব আপাত অসঙ্গতির ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিভিন্ন উপায়ে। যেমন:
কুরআনের ভাষা কাব্যধর্মী, তাই কিছু বিবরণ আক্ষরিকভাবে না নিয়ে রূপকভাবে বোঝা উচিত।
আরবি ভাষায় কিছু শব্দের একাধিক অর্থ থাকতে পারে, যা প্রসঙ্গ অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।
সেই সময়কার মানুষের বোঝার উপযোগী ভাষায় তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, যা আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক ভাষার সাথে হুবহু মেলে না।
এ বিষয়ে গবেষণা ও বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে, এবং এটি নির্ভর করে কার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা হচ্ছে তার ওপর।