Back |
|
Register | Login | Refresh | Home |
আন্তর্জাতিক উত্তেজনা ও যুদ্ধ |
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতি |
শাসক ও তার কর্মী |
রাষ্ট্রীয় দমননীতি ও নিপীড়ন |
দুর্নীতি ও অর্থ পাচার |
প্রশাসনিক দুর্নীতি ও আমলাতন্ত্র |
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি ও সহিংসতা |
বাংলাদেশের ইসলামপন্থী দল |
মাদরাসায় বলৎকার ও ধর্ষণ |
বৈষম্য নীতি ও ধর্মীয় গোঁড়ামি |
মত প্রকাশের দমন |
বাল্যবিয়ে ও নারীর প্রতি সহিংসতা |
ট্রান্সজেন্ডার ও তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার |
শ্রমিক অধিকার ও বৈষম্য |
মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় |
আদিবাসী ও সংখ্যালঘু নিপীড়ন |
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক প্রভাব |
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার |
গণমাধ্যম ও তথ্য নিয়ন্ত্রণ |
ন্যায্য আন্দোলন |
উগ্রপন্থীদের আন্দোলন |
গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা |
মানবাধিকার লঙ্ঘন |
ব্লগার ও মুক্তচিন্তার নিপীড়ন |
সংঘাত ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা |
নির্বাচনী ব্যবস্থা ও ভোট কারচুপি |
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ |
সেন্সরশিপ ও মিথ্যা প্রচার |
নাস্তিকতা বিষয়ক |
নাস্তিক্যবাদ |
মানবাধিকার বিষয়ক |
স্বাধীনচিন্তা বা মুক্তচিন্তা |
বাস্তববাদ বনাম ভাববাদ |
ধর্মনিরপেক্ষতা |
যুক্তি ও কুযুক্তি/ফ্যালাসি |
দার্শনিক সমস্যাবলী |
আত্মসচেতনতা ও ব্যক্তিসত্তা |
অমরত্ব ও মৃত্যুর দর্শন |
সুখ ও অর্থপূর্ণ জীবনের দর্শন |
মহাবিশ্বের উদ্ভব সম্পর্কিত |
প্রাণের উদ্ভব ও বিবর্তন তত্ত্ব |
ট্রান্সহিউম্যানিজম ও ভবিষ্যৎ বিবর্তন |
নৈতিকতা ও নৈতিক দর্শন |
সামাজিক ন্যায় ও সমতা |
রাজনৈতিক দর্শন ও নীতিশাস্ত্র |
গোপন সরকার ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব |
জাতীয়তাবাদ বনাম বিশ্বনাগরিকত্ব |
অস্তিত্বের সংকট ও সাংস্কৃতিক পতন |
ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক সমালোচনা |
পরাবাস্তববাদ ও মেটাফিজিক্স |
নৈরাজ্যবাদ ও স্বাধীনতার দর্শন |
ভাষাতত্ত্ব ও ভাষার দর্শন |
প্রত্নতত্ত্ব ও মানবসভ্যতার বিকাশ |
মিথ ও পৌরাণিক দর্শন |
মানব মনোবিদ্যা ও আচরণবিজ্ঞান |
কোরআন সংকলন পরিমার্জন |
হাদিসের সংকলন ও গ্রহণযোগ্যতা |
কোরআনে বৈজ্ঞানিক ভুল |
কোরআনে ব্যাকরণ ও তথ্যগত ভুল |
আল্লাহ সম্পর্কিত |
তাকদীর সম্পর্কিত |
আক্রমণাত্মক জিহাদ |
ইসলামের আগ্রাসন ও সাম্রাজ্যবাদ |
ইসলামী শরীয়ত |
শরীয়তের রাজনৈতিক ব্যবহার |
আকীদা ও হালাল হারাম |
মুহাম্মদ সম্পর্কিত |
মুহাম্মদের মোজেজা |
মিরাজ সম্পর্কিত |
মুহাম্মদকে হত্যাকান্ড |
মুহাম্মদের দ্বারা হত্যাকান্ড |
মুহাম্মদের যৌনজীবন |
মুহাম্মদের রাজনৈতিক চালবাজি |
দাসপ্রথা সম্পর্কিত |
ইসলামে বিবাহ ও যৌনতা |
নারী সম্পর্কিত |
ইসলামে বোরকা ও পর্দা বিধান |
হাস্যকর হাদিস |
ইসলামের উদ্ভট মিথ্যা প্রোপাগান্ডা |
চার খলিফা ও সাহাবী |
ইমামদের আমলনামা |
অন্য নবীদের কীর্তিকলাপ |
জ্বীন ভুত শয়তান ফেরেশতা |
হুর গেলমান বিষয়ক |
ইসলামী মৌলবাদ ও উগ্রবাদ |
ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা ও এর ব্যর্থতা |
ইসলাম ও মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি |
ইসলামে ধর্মান্তর ও জোরপূর্বক ইসলাম গ্রহণ |
ইসলামে বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের দমন |
ইসলামিক ব্যাংকিং ও সুদ |
আহলে কোরআনদের ভণ্ডামি |
নবীর অনুসারীদের কীর্তি |
ইসলাম ধর্মের আলেমদের ব্যবসা |
কোরআন সংকলনের ঐতিহাসিক নির্ভরযোগ্যতা |
নাস্তিকদের মিথ্যা দাবী |
কোরআনের ঐশ্বরিক উৎস |
কোরআনের বিজ্ঞান দাবির খণ্ডন |
কোরআনের ভাষাগত বিশুদ্ধতা |
কোরআনের ও হাদিসের ভবিষ্যদ্বাণী ও প্রমাণ |
কোরআনের নৈতিকতা ও মানবিকতা |
দাঈফ ও জাল হাদিসের প্রসার |
মুহাম্মদ সা-এর দুশমন ও সমালোচকরা |
ইসলামী শরীয়াহর ন্যায়বিচার |
ইসলামী অর্থনীতি ও সুদবিহীন ব্যাংকিং |
ইসলামের দাসপ্রথার সংস্কার |
ইসলামে নারীর মর্যাদা |
ইসলামে পুরুষ ও নারীর দায়িত্ব ও ভারসাম্য |
ইসলামে উত্তরাধিকার আইন |
ইসলামে বিয়ে ও পারিবারিক কাঠামো |
জিহাদের প্রকৃত অর্থ ও বিধান |
ইসলামের সাম্রাজ্য বিস্তার ও ন্যায়বিচার |
আধুনিক বিশ্বে ইসলামের প্রাসঙ্গিকতা |
হিন্দু ধর্মগ্রন্থে সমস্যা |
হিন্দু সমাজব্যবস্থার অসঙ্গতি |
হিন্দু ধর্মের অযৌক্তিক আচার ও কুসংস্কার |
হিন্দু ধর্ম ও রাজনৈতিক প্রভাব |
হিন্দু ধর্মের অবৈজ্ঞানিক বিশ্বাস |
হিন্দু ধর্মের অসংগতি |
হিন্দু ধর্মে নিষ্ঠুর আচার-অনুষ্ঠান |
হিন্দু ধর্মে ধর্মীয় শোষণ ও পুরোহিততন্ত্র |
হিন্দু ধর্মে বৈষম্য ও জাতিগত নিপীড়ন |
হিন্দু ধর্মে দেব-দেবীদের বিতর্কিত চরিত্র |
হিন্দু ধর্মে নারীদের প্রতি অবমাননা |
হিন্দু ধর্মে পৌরাণিক নীতিগত সমস্যা |
হিন্দু ধর্মের ব্যবসায়িক দিক |
বাইবেলের নৈতিক ও আইনগত সমস্যা |
যিশুর ঐতিহাসিকতা নিয়ে বিতর্ক |
খ্রিস্টান ধর্মতাত্ত্বিক সমস্যা |
খ্রিস্টান ঐতিহাসিক সমালোচনা |
খ্রিস্টান নৈতিক ও সামাজিক সমস্যা |
খ্রিস্টান ধর্ম ও বিজ্ঞান সংঘাত |
খ্রিস্টান মিশনারি সাংস্কৃতিক ও সাম্রাজ্যবাদ |
নারীবাদ বনাম খ্রিস্টান ধর্ম |
খ্রিস্টান ধর্ম ও অন্যান্য ধর্মের মধ্যে সম্পর্ক |
কোরআনের বৈজ্ঞানিক দাবিগুলো নিয়ে মুসলিম গবেষকরা দাবি করেন যে, গ্রন্থটিতে এমন অনেক তথ্য রয়েছে যা আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে সমালোচকরা এসব দাবির খণ্ডন করেছেন বিভিন্ন উপায়ে।
প্রথমত, অনেক বৈজ্ঞানিক দাবি ব্যাকরণগত ও ব্যাখ্যাগত ভিন্নতার কারণে দ্ব্যর্থক হয়ে ওঠে। উদাহরণস্বরূপ, ভ্রূণবিদ্যার ক্ষেত্রে কোরআনের বর্ণনাকে অনেকে আধুনিক ভ্রূণবিজ্ঞানের সঙ্গে মেলানোর চেষ্টা করেন। তবে সমালোচকরা বলেন, কোরআনের “আলাকা” শব্দের অর্থ শুধুমাত্র “জোঁকের মতো বস্তু” নয়, বরং “রক্তের দলা” বা “কোনো ঝুলন্ত বস্তু” হিসেবেও অনুবাদ করা যায়। ফলে এটি আধুনিক জীববিজ্ঞানের নির্দিষ্ট কোনো পর্যায়ের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়।
দ্বিতীয়ত, অনেক সময় কোরআনের আয়াতগুলোর অর্থকে প্রসঙ্গহীনভাবে বিজ্ঞানসম্মত করার চেষ্টা করা হয়। যেমন, “আকাশ ও পৃথিবী একত্রে ছিল, পরে আমরা তা পৃথক করেছি” (সূরা আম্বিয়া ২১:৩০) আয়াতকে অনেকে বিগ ব্যাং তত্ত্বের সঙ্গে মেলানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আয়াতের ভাষা ও প্রাচীন ব্যাখ্যাগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এটি আসলে ঐতিহ্যবাহী সৃষ্টিতত্ত্বের একটি সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন, যা বিভিন্ন সংস্কৃতিতেই পাওয়া যায়।
তৃতীয়ত, কিছু বৈজ্ঞানিক দাবি কোরআনের ব্যাখ্যায় পরবর্তী যুগে যুক্ত করা হয়েছে। যেমন, “লোহা আকাশ থেকে এসেছে” (সূরা হাদীদ ৫৭:২৫) আয়াতটিকে মেটেওরাইটিক আয়রনের প্রসঙ্গ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়। তবে এ ধরনের ব্যাখ্যা মধ্যযুগের ইসলামি ভাষ্যকারদের মধ্যে দেখা যায় না, যা ইঙ্গিত দেয় যে এটি আধুনিক বিজ্ঞানের তথ্যকে কোরআনের সঙ্গে মেলানোর প্রচেষ্টা মাত্র।
চতুর্থত, কিছু আয়াত বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে দ্বন্দ্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। যেমন, সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের বর্ণনায় কোরআনে “সূর্য কাদামাটির ঝর্ণিতে অস্ত যায়” (সূরা কাহাফ ১৮:৮৬) বলা হয়েছে, যা জ্যোতির্বিজ্ঞানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। যদিও অনেক মুসলিম ভাষ্যকার এটি রূপক অর্থে ব্যাখ্যা করেন, তবুও আয়াতের সরাসরি পাঠ্য বিশ্লেষণে এর বৈজ্ঞানিক অসংগতির বিষয়টি সামনে আসে।
অতএব, কোরআনের বিজ্ঞান দাবিগুলো নিয়ে সমালোচকদের প্রধান বক্তব্য হলো, এগুলো সাধারণত ব্যাকরণগত নমনীয়তা, প্রসঙ্গহীন বৈজ্ঞানিক সমান্তরালতা, এবং আধুনিক ব্যাখ্যার সংযোজনের ওপর নির্ভরশীল। বিজ্ঞান একটি পরীক্ষানির্ভর ও পরিবর্তনশীল প্রক্রিয়া, যেখানে কোরআনের আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা নির্দিষ্ট ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নির্ধারিত হয়। এই কারণে, কোরআনকে একটি বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ হিসেবে উপস্থাপন করা কতটা যৌক্তিক, তা নিয়ে বিতর্ক চলমান।