Register | Login | Refresh | Home |
![]() ![]() ![]() | - | Bangladesh Atheismআকীদা ও হালাল হারাম (বিপক্ষে), ইসলাম ও মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি (বিপক্ষে), ইসলামী শরীয়ত (বিপক্ষে), ইসলামে বিবাহ ও যৌনতা, নারী সম্পর্কিত (বিপক্ষে),1 Mar 2025 (2 weeks ago) |
একবার ভাবুন, কতটা বিকৃত চিন্তাভাবনা থাকলে একটি ধর্ম এমন নিয়ম তৈরি করতে পারে! ধরুন, একজন পুরুষের মনে হঠাৎ করে প্রবল যৌন বাসনা জেগে উঠল, কিন্তু সে মুহূর্তে তার স্ত্রী পাশে নেই। এমন পরিস্থিতিতে যদি সেই ব্যক্তি নিজের মেয়েকেই শিকার বানায়,...
ইসলামে বিবাহ ও যৌনতা নিয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, তবে সমালোচনামূলক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে কিছু বিতর্কিত বিষয় উঠে আসে। ইসলামিক বিবাহ প্রথাকে অনেকেই সমর্থন করলেও, এটি নিয়ে সমালোচনার জায়গা তৈরি হয়েছে বিশেষ করে নারীর অবস্থান, বহুবিবাহ, শিশু বিবাহ, এবং যৌন অধিকারের দিক থেকে।
প্রথমত, ইসলামে বহুবিবাহ বৈধ, এবং একজন পুরুষ চারটি স্ত্রী পর্যন্ত রাখতে পারেন, তবে নারীদের জন্য এটি নিষিদ্ধ। যদিও কুরআনে (সূরা নিসা ৪:৩) শর্তসাপেক্ষে ন্যায়বিচারের কথা বলা হয়েছে, তবে বাস্তবে এটি প্রায়শই পুরুষতান্ত্রিক সুবিধা হিসেবেই দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে এটি নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণকে বৈধতা দেয় বলে সমালোচিত হয়।
দ্বিতীয়ত, ইসলামে বিবাহের মাধ্যমে যৌন সম্পর্ক বৈধ হলেও, এটি প্রায়শই নারীর চেয়ে পুরুষের চাহিদার ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়। উদাহরণস্বরূপ, একজন স্বামী তার স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতে চাইলে, স্ত্রীকে তা মেনে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (সহিহ বুখারি ৪৮৯০, সহিহ মুসলিম ১৪৩৬)। সমালোচকরা মনে করেন, এটি নারীর সম্মতি ও স্বাধীনতার পরিপন্থী।
তৃতীয়ত, ইসলামের আইনে বিবাহ বিচ্ছেদ (তালাক) প্রথাও মূলত পুরুষতান্ত্রিক। একজন পুরুষ সরাসরি তিনবার “তালাক” বললেই বিবাহ বিচ্ছেদ কার্যকর হয়ে যেতে পারে, যদিও নারীর জন্য এটি অনেক জটিল ও দীর্ঘসূত্রতাপূর্ণ। এর ফলে নারী প্রায়শই আর্থিক ও সামাজিকভাবে দুর্বল অবস্থানে পড়ে।
চতুর্থত, ইসলামে যৌন দাসত্ব এবং যুদ্ধবন্দী নারীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অনুমোদনও সমালোচনার একটি বড় বিষয়। কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে (উদাহরণস্বরূপ, সূরা নিসা ৪:২৪) যুদ্ধবন্দী নারীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অনুমতি রয়েছে, যা আধুনিক মানবাধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে অনেকে মনে করেন।
এছাড়া, ইসলামে পর্দা প্রথা, নারীর জন্য কঠোর শালীনতার বিধান, এবং পুরুষের বহুগামিতা নিয়ে ঢিলেঢালা দৃষ্টিভঙ্গি অনেকের মতে নারী স্বাধীনতার পরিপন্থী। এসব কারণে ইসলামিক বিবাহ ও যৌনতা নিয়ে সমালোচনা বিদ্যমান, বিশেষ করে সমকালীন মানবাধিকার ও সমতার দৃষ্টিকোণ থেকে।