আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সমাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কিন্তু অনেক সময় তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার জনসাধারণের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে। এই অপব্যবহার বিভিন্নভাবে হতে পারে, যেমন—অনুচিত গ্রেপ্তার, শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন, ঘুষ গ্রহণ, অবৈধ আটক, কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যা।

অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব, দুর্নীতি, কিংবা ব্যক্তিগত স্বার্থ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পক্ষপাতমূলক আচরণে উৎসাহিত করে। এতে সাধারণ নাগরিকরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হন এবং অপরাধীরা প্রভাব খাটিয়ে রক্ষা পেয়ে যায়। বিশেষত, যেসব দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দুর্বলতা রয়েছে, সেখানে এই ধরনের অপব্যবহার আরও প্রকট হয়।

ক্ষমতার অপব্যবহার শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের ক্ষতি করে না, বরং এটি গোটা সমাজে অবিশ্বাস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে। জনগণের আস্থা কমে গেলে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে, যার ফলে অপরাধ প্রবণতা বাড়তে পারে। এটি একটি রাষ্ট্রের আইনের শাসন নীতিকেও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয়।

এই সমস্যার সমাধানে জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি। স্বচ্ছতা, স্বাধীন তদন্ত ব্যবস্থা, মানবাধিকার রক্ষা, এবং সাধারণ জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ করতে পারে। শক্তিশালী গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের কার্যকর ভূমিকা রাখার মাধ্যমেও এই ধরনের অনিয়ম প্রতিহত করা সম্ভব।